রাজধানী ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ‘আইডিয়াল ডিবেটিং ক্লাব’এর উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী ১৫তম জাতীয় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেমিফাইনাল শেষে গত ২৯ এপ্রিল, ২০১৮ ইং তারিখে ফাইনাল পর্ব সম্পন্ন হয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের স্বনামধন্য ৩২টি বিদ্যালয়। ‘এই সংসদ নারী কোটায় বিশ্বাস করে না’ -এই বিষয়বস্তুর ওপর সরকারী ও বিরোধী দলের মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চুড়ান্ত পর্বে সরকারী দলে ছিল ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ‘জেভেরিয়ান ডিবেটিং ক্লাব’এবং বিরোধী দলে ছিল সেন্ট যোসেফ স্কুল এন্ড কলেজের ‘যোসেফাইট ডিবেটিং ক্লাব’। বিরোধী দলকে হারিয়ে সরকারী দল ‘জেভেরিয়ান ডিবেটিং ক্লাব’ চ্যাম্পিয়ানের মর্যাদা অর্জন করে। ‘জেভেরিয়ান ডিবেটিং ক্লাবের’ বিতার্কিক ছিল মোহিনী পৃথুলা (১০ম শ্রেণি), জেরিন আগ্নেশ রোজারিও (১০ম শ্রেণি) এবং জান্নাতুল ফিরদাউস মীম (৯ম শ্রেণি)।

‘জেভেরিয়ান ডিবেটিং ক্লাবের’ আহ্বায়ক শিক্ষক জুলিয়ানা শেফালী গমেজ বলেন, ‘আমরা ছাত্রীদের যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলতে চাই। আমরা প্রতিষ্ঠানের মান-মর্যাদা ও সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে চাই।’ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সিস্টার মেরী পালমা, আর.এন.ডি.এম বলেন, ‘ছাত্রীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য, যাতে তারা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। আমরা চাই ছাত্রীরা সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখুক।’ প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ সিস্টার মায়া গেট্রুড রোজারিও, আর.এন.ডি.এম বলেন, ‘অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিতর্কে চ্যাম্পিয়ান হওয়াতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ছাত্রীদের জন্য রইল আমার আশির্বাদ এবং আমি তাদের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করি।’

‘আইডিয়াল ডিবেটিং ক্লাব’ কর্র্র্তৃক আয়োজিত জাতীয় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকৃত ৩২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, সেন্ট যোসেফ স্কুল এন্ড কলেজ, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল এন্ড কলেজ, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ওয়াই.ডব্লিউ.সি.এ, মতিঝিল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ।

উল্লেখ্য, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্রীদের যোগ্য, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষে গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন কার্যক্রম। জেভেরিয়ান ডিভেটিং ক্লাব, জেভেরিয়ান বিজ্ঞান ক্লাব, জেভেরিয়ান ইংরেজি ক্লাব, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ম্যাগাজিন প্রকাশ, বিজ্ঞান মেলা, দেয়ালিকা প্রদর্শণ, হস্তশিল্প প্রদর্শণ, ক্লাসপার্টি, পিঠা উৎসব, রচনা, হাতের লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, নারী দিবস, শিশু দিবস, শিক্ষকদিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উদযাপিত হয় ‘‘ইউফ্রেজী দিবস ও পিঠা উৎসব’’। গত ১৮/০১/২০১৮ খ্রি: (বৃহস্পতিবার) তারিখে স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষক ও ছাত্রীদের উপস্থিতিতে প্রথমে ইউফ্রেজী দিবস এবং পরবর্তীতে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। ইউফ্রেজী দিবস ও পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সিস্টার মেরী পালমা, আর.এন.ডি.এম। ইউফ্রেজী দিবস উদ্বোধনকালে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বলেন, ‘ইউফ্রেজী ছিলেন আর.এন.ডি.এম সিস্টারদের সংঘের প্রতিষ্ঠানেত্রী। তিনি ১৮২৯ খ্রি: জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৯৩ খ্রি: মৃত্যুবরণ করেন। তিনি একজন সত, যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞ মানুষ ছিলেন। তাঁর সততা, যোগ্যতা ও ভালোবাসা প্রশংসার দাবি রাখে। তোমরাও তাঁর মত আদর্শবান, নিষ্ঠাবান, যোগ্য ও দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠো।’ পিঠা উৎসব উদ্বোধনকালে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বলেন, ‘আজ এ উৎসবের মতো উৎসবমুখর হউক তোমাদের প্রতিটি মুহুর্ত। উৎসবের আমেজে এগিয়ে যাও তোমরা তোমাদের লক্ষ্যে, ভুলে যাও দ্বন্দ্ব, হতাশা ও বৈষম্য; আলোকোজ্জ্বল হউক তোমাদের ভবিষ্যৎ।’

উৎসব হলো আনন্দ প্রকাশ ও আনন্দের মাধ্যম। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রীদের উদ্যোগে স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। নবান্নের এ মহাসমারোহে উৎসব পরিনত হয় আনন্দঘন মিলনমেলায়। বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রীরা ছোট ছোট প্রায় ৮০টি স্টলের মাধ্যমে তাদের বানানো পিঠার পসরা নিয়ে বসে। সকাল ৯টা ৩০মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পিঠা উৎসব চলতে থাকে। মেলায় ঐতিহ্যবাহী নানা রঙ্গ-বিরঙ্গের পিঠাপুলি দেখা যায়। দৃশ্যমান পিঠাপুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পুলি পিঠা, পাটি শাপটা, ভাপা পিঠা, পোয়া পিঠা, তেলে ভাজা পিঠা, মুড়ির মোয়া, চিতই পিঠা, দুধ পুলি ইত্যাদি।

স্কুল ও কলেজের শিক্ষক এবং ছাত্রীদের উপস্থিতিতে মেলা প্রাঙ্গণে যেন এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মিষ্টি পিঠার গন্ধে মুখুর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। শহরের এই ব্যস্ততম ও যান্ত্রিক পরিবেশে স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজীত পিঠা উৎসবটি সবার মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য, কর্মস্পৃহা ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। ছোটবেলার শাশ্বত সোনালী উপাখ্যান এই মেলায় যেন সবাই খুঁজে পায়।

বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। বিজ্ঞান আমাদের শিক্ষা দেয়-যে শিক্ষা ধারাবাহিক, বিশ্লেষণপন্থি ও বাস্তব। একটি বাস্তব কার্যকরণ নিয়মের আবিষ্কার বিজ্ঞানের কাজ। কেন হচ্ছে, কিজন্য হচ্ছে, বিজ্ঞানই বলে দিতে পারে। বিজ্ঞানের ব্যাপক বিস্তারে, বিকাশে, রূপদানে যে-কোন জাতি বা দেশের সর্বাঙ্গিণ উন্নতি নির্ভর করে। বিজ্ঞান ছাড়া কোনো শিক্ষাকেই এখন পূর্ণাঙ্গ বলে বিবেচনা করা হয় না।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে আসছে। ছাত্রীদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানে সমৃদ্ধকরণ তথা আরো যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে গড়ার মহান মানসিকতা নিয়ে গঠন করা হয়েছে “জেভেরিয়ান বিজ্ঞান ক্লাব”। গত ২৮/০২/২০১৮ ইং তারিখে দুপুর ১.০০ টায় প্রতিষ্ঠানের অডিটরিয়ামে এ ক্লাবের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সিস্টার মেরি পালমা, আর.এন.ডি.এম।

জেভেরিয়ান বিজ্ঞান ক্লাবের উদ্বোধনকালে অধ্যক্ষ বলেন, ‘মানবজীবন গঠন ও বিকাশের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব অবশ্যই স্বীকার্য। জীবনকে যোগ্যতর করে তোলা সম্ভব বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে। সুন্দর জীবন ও সমাজ গঠনের জন্য বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা যুগ যুগ স্বীকৃত হয়ে এসেছে। বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগে জাতি সংস্কারমুক্ত, গতিশীল ও আধুনিক যুগের উপযোগী হয়ে উঠবে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। বিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্রীদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলাই বিজ্ঞান ক্লাবের মূল লক্ষ্য।’ এ সময় তিনি ছাত্রীদের উদ্দেশে আরো বলেন, ‘তোমরা জ্ঞানের সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রাখ। নতুনকে জানার আগ্রহে এবং মানব কল্যাণে অবদান রাখার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাও।’

উপস্থিত শিক্ষকদের মধ্যে জীববিজ্ঞানের শিক্ষক আফরীনা হক বলেন, ‘বিজ্ঞানের বৈচিত্র্যময় অবদানের প্রেক্ষিতেই আজকের বিশ্বের মানুষের জীবন হয়েছে সরল, সহজ; হয়েছে সুখকর। বিজ্ঞানের যে জয়যাত্রা তা ছড়িয়ে গেছে জীবনের সর্বত্র; বিশ্বের সর্বত্র। বিজ্ঞানের উন্নতিতে আজ বিশ্বজগৎ চমৎকৃত ও বিস্মিত। আমরা চাই আমাদের ছাত্রীরা বিজ্ঞান ক্লাবের মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন ও জ্ঞানের আদান-প্রদান করে যুগোপযোগী হয়ে গড়ে ওঠুক।’

জীববিজ্ঞানের শিক্ষক কাজী মাহবুবা আখতার বলেন, মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে বিজ্ঞানের সাধনায় নিয়োজিত হয়েছে। মানুষের সাধনার বলেই বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। আমরা চাই আমাদের ছাত্রীরাও জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠুক।

প্রাথমিক পর্যায়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে বিজ্ঞান ক্লাবের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থী জেরিন আগনেশ রোজারিওকে সভাপতি, মহিনী পৃথুলাকে সহ-সভাপতি, ফাতেমা-তুজ জোহরাকে সাধারণ সম্পাদক এবং তাসমিয়া লামিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি বিজ্ঞান ক্লাবের লক্ষ্য ও কার্যক্রম সম্পর্কে বলে, ‘বৈজ্ঞানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সাথে নিজেদের প্রজ্বলিত করা এবং আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলাই বিজ্ঞান ক্লাবের প্রধান লক্ষ্য। লক্ষ্য অর্জনে আমরা আধুনিক বিশ্বের নতুন নতুন আবিষ্কার সম্পর্কে আলোচনা করব; বিজ্ঞান প্রজেক্ট, অলিম্পিয়াড ও ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করব; জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণসহ বৈজ্ঞানিক বিষয়সম্পর্কিত গবেষণায় নিজেদের নিয়োজিত রাখব।’

উল্লেখ্য, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্রীদের যোগ্য, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষে গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন কার্যক্রম। জেভেরিয়ান ডিবেটিং ক্লাব, জেভেরিয়ান ইংরেজি ক্লাব, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ম্যাগাজিন প্রকাশ, বিজ্ঞান মেলা, ক্লাসপার্টি, পিঠা উৎসব, দেয়ালিকা, রচনা, হাতের লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, নারী দিবস, শিশু দিবস, শিক্ষকদিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত সূত্রাপুর থানাধীন পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মিশনারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ। শিক্ষার্থীকে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া এবং যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার মহান মানসিকতা নিয়ে গড়ে ওঠা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রতি গুরুত্বারোপ করে আসছে। সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কার্যক্রম ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে গড়ে তোলার জন্য অভ্যন্তরীণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ণের অসংখ্য রেকর্ড রয়েছে সেবামূলক মনোভাব নিয়ে গড়ে ওঠা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির।

গত ০৫ ও ০৬ সেপ্টম্বর, ২০১৮ ইং তারিখে ৪৩তম জাতীয় মৌসুমী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সূত্রাপুর থানার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। নারিন্দা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং তারিখে থানা পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় বিতর্ক, দলীয় নৃত্য, দেয়ালিকা ও জারিগানে চ্যাম্পিয়ণের মর্যাদা লাভ করে এ প্রতিষ্ঠানটি। পরদিন ০৬.০৯.২০১৮ ইং তারিখে মুসলিম গভ. হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ফুটবল, হ্যান্ডবল ও কাবাডি প্রতিযোগিতায়ও চ্যাম্পিয়ণের মর্যাদা লাভ করে প্রতিষ্ঠানটি। থানা পর্যায়ের গন্ডি পেরেয়ি অংশগ্রহণ করে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়। জেলা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

উল্লেখ্য, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্রীদের যোগ্য, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষে গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন কার্যক্রম। জেভেরিয়ান ডিবেটিং ক্লাব, জেভেরিয়ান বিজ্ঞান ক্লাব, জেভেরিয়ান ইংরেজি ক্লাব, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ম্যাগাজিন প্রকাশ, বিজ্ঞান মেলা, দেয়ালিকা প্রদর্শণ, হস্তশিল্প প্রদর্শণ, ক্লাসপার্টি, পিঠা উৎসব, রচনা, হাতের লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, নারী দিবস, শিশু দিবস, শিক্ষকদিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

Suspendisse et accumsan velit, non sollicitudin nisl. Donec dapibus augue eu viverra eleifend. Etiam finibus eu arcu nec tempus. Sed luctus metus leo, non pellentesque tortor tempor aliquam. Sed sit amet egestas est. Sed varius, urna ac bibendum porta, nunc risus suscipit turpis, sed condimentum neque metus non purus. Quisque volutpat nulla dignissim diam malesuada, id tincidunt orci scelerisque. Phasellus est orci, varius sit amet imperdiet ac, faucibus id urna. Mauris varius odio et nisl finibus, sed fringilla ligula eleifend.

Curabitur volutpat bibendum mi sed hendrerit. Etiam commodo molestie facilisis. Nulla sed lectus eu metus consequat vehicula eu ac justo. Phasellus posuere vehicula rhoncus. Praesent a molestie tortor. Phasellus ornare imperdiet vehicula. Vivamus nec odio vitae ligula semper facilisis quis id odio.

Suspendisse et accumsan velit, non sollicitudin nisl. Donec dapibus augue eu viverra eleifend. Etiam finibus eu arcu nec tempus. Sed luctus metus leo, non pellentesque tortor tempor aliquam. Sed sit amet egestas est. Sed varius, urna ac bibendum porta, nunc risus suscipit turpis, sed condimentum neque metus non purus. Quisque volutpat nulla dignissim diam malesuada, id tincidunt orci scelerisque. Phasellus est orci, varius sit amet imperdiet ac, faucibus id urna. Mauris varius odio et nisl finibus, sed fringilla ligula eleifend.

Curabitur volutpat bibendum mi sed hendrerit. Etiam commodo molestie facilisis. Nulla sed lectus eu metus consequat vehicula eu ac justo. Phasellus posuere vehicula rhoncus. Praesent a molestie tortor. Phasellus ornare imperdiet vehicula. Vivamus nec odio vitae ligula semper facilisis quis id odio.